মহানবী (সঃ) দুশ্চিন্তা ও ঋণ-এর সময় এই দোয়াটি বেশি বেশি পরতেন। যে দোয়া পড়লে পাহাড় সমান ঋণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতদের অনেক ভালোবাসতেন। তিনি তার উম্মতদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য তিনি বিভিন্ন আমলের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিটা সমস্যা সমাধানে তিনি আলাদা আলাদা আমল করার জন্য আলাদা আলাদা আমাদের আমল শিখিয়েছেন।
তেমনি ভাবে তিনি উম্মতের মধ্যে যাদের ঋণের বোঝা রয়েছে। তা লাঘবের জন্য অর্থাৎ ঋণ থেকে মুক্তির জন্য যে আমল করতে হবে তা তিনি শিখিয়ে গেছেন।
সাহাবি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ ত্বলহাকে বলেন, তোমাদের ছেলেদের মধ্য থেকে একটি ছেলে খুঁজে আন, যে আমার খেদমত করতে পারে। এমনকি তাকে আমি খায়বারেও নিয়ে যেতে পারি। অতঃপর আবূ ত্বলহা (রাঃ) আমাকে তার সাওয়ারীর পেছনে বসিয়ে নিয়ে চললেন। আমি তখন প্রায় সাবালক। আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর খেদমত করতে লাগলাম।
তিনি যখন অবতরণ করতেন, তখন প্রায়ই তাকে এই দু‘আ পড়তে শুনতামঃ
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল)
“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।”
(বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩)
এই দোয়া পড়লে পাহাড় সমান দুশ্চিন্তা ও ঋণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এখানে কোন ভুল থাকলে আপনার মন্তব্য জানাবেন।